আক্রান্ত হবার পর নাক ও মুখের ভেতরে করোনা ভাইরাস থাকে প্রায় চারদিন। আর সেই ভাইরাসকে মারতে সক্ষম “বঙ্গসেফ ওরো-ন্যাজাল স্প্রে’। এমন দাবি করে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট নামের সংস্থাটি বলছে, এই ন্যাজাল স্প্রেটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই বিএমআরসিতে পাঠানো হবে। এরই মধ্যে দু্ইশ’ রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্নও করেছেন গবেষকরা।
মুহিবুল্লাহ মুহিবের রিপোর্ট।
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্ট-বিআরআইসিএম কার্যালয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উদ্ভাবিত ন্যাজাল স্প্রে বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিজ্ঞানী ডক্টর মালা খান। এসময় তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেলের একদল চিকিৎসক এবং বিআরআইসিএম এর বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে একটি কার্যকরী ন্যাজাল স্প্রে তৈরি করেছেন তারা। যা করোনা ভাইরাস দূরকরণে সহায়তা করবে। স্বস্তি দেবে আক্রান্তদের।
বঙ্গসেফ উদ্ভাবনের প্রধান সমন্বয়ক ডাক্তার মোস্তফা কামাল আরেফীন জানান, এটি করোনা প্রতিরোধে নাক এবং মুখে ব্যবহারে অনেকটা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এসময় ঢাকা মেডিকেলের আরেক গবেষক অধ্যাপক ডাক্তার এম আমজাদ হোসেন জানান, সীমিত পরিসরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ জন করোনা রোগীর মধ্যে এই স্প্রের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চালিয়ে সফল হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এই ভাইরাস ধ্বংস করতে নাকের ভেতর বা মুখগহ্বরে ব্যবহারের এ ধরণের কোনো ওষুধ আসেনি। আরও বিস্তৃত পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা।