দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সুন্দরবন ও সাফারি পার্কসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার পর্যটন স্পটগুলো। বিশেষ নিদের্শনা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মাথায় রেখেই দর্শনার্থীদের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতে সব রকম প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অস্বস্তি ও মানসিক চাপ কমাতে খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটন স্থান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরবন ভ্রমনে ছুটছেন পর্যটকরা। করমজলে ভীর করেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক। আবারো কর্মচাঞ্চল্য ফেরার আশায় সুন্দরবন নির্ভর খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
গত কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ভ্রমণের নৌযানগুলো ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৯ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনে ভ্রমণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ট্যুর অপারেটরগুলো। এদিকে, খুলেছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কও। ২২ প্রজাতির দুই শতাধিক স্তন্যপায়ী পাণীসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার পশুপাখির অরণ্য ঘেরা এ পার্কটিতে ফিরেছে চাঞ্চল্য । স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ নেয়া হয়েছে সব ধরণের প্রস্তুতি। বন্ধের এসময়ে পার্কে জন্ম নেয়া বিভিন্ন প্রাণি শাবক দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দেবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন পঞ্চাশ টাকা টিকিটে দর্শনার্থীরা সাফারি পার্কে প্রবেশ করতে পারেন ।