দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে আলু সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ গড়ে না ওঠায় এবারও লোকসানের শংকায় ক্ষুদ্র আলু চাষীরা। ধান ও চালের মতো আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয়ার দাবি কৃষকদের।
মুন্সীগঞ্জের বিশাল জমি যেনো সবুজ গালিচা। কচি পাতার ভাজে ভাজে মাঠে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। মাসখানেকের পরই কষ্টের ফসল ঘরে তোলার মৌসুম শুরু হবে।
আলু ক্ষেত
তবে দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না আলু চাষীদের। কারণ, গত প্রায় দুই মাস ধরে আলুর দামের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও, প্রকৃত কৃষকরা যখন আলু বাজারে আনতে শুরু করেছে, তখনই দরপতন। এখন নতুন আলু মিলছে কেজি ত্রিশ টাকা বা আরো কমে। তাই ভরা মৌসুমে আলুর নায্য দাম মিলবে কি না, তা নিয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই আলুর রাজধানী হিসেবে খ্যাত মুন্সিগঞ্জের চাষীদের।
আলু তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা
আলুচাষীদের জন্য একটি বড় সমস্যা হিমাগার। হিমাগার স্বল্পতার পাশাপাশি তার উচ্চ ভাড়ার কারণে অনেক কৃষকই চাইলেও আলু সংরক্ষণ করতে পারেন না, তাই বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে অনেক চাষীকে আলু বিক্রি করে দিতে হয়। ধানের মতো আলুরও মূল্য নির্ধারণ করার দাবি কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গেলো মৌসুমের চেয়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ টন বেশি আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবার। তবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে আলু কেনার এখনই পরিকল্পনা নেই সরকারের।