কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকান্ডে ৪শ’ ৩৫টি পরিবারের সমন্বয়ে একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। সাথে রয়েছে পার্শ্ববর্তী দু’টি স্থানীয় জনবসতির ঘর, কমিউনিটি সেন্টারও।
ফায়ার সার্ভিসসহ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে অন্তত ২০ আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ই-ব্লকে, বুইগ্গানীর ঘর থেকে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘন্টার মধ্যে পুরো ব্লক পুড়তে থাকে।

খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রোহিঙ্গাদের সাথে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার চেষ্টার পর, ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অগ্নিকান্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির রুম, ১টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পাশ্ববর্তী স্থানীয় জনবসতির দু’টি ঘরসহ ৪৩৫টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া, ভাসমান আরো কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন দাবি করেন।
এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, ভোররাতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডে উপরিউক্ত ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে অগ্নিকান্ডের উৎস সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পুর্ণবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
