জয়পুরহাটে ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর আত্মহত্যার মামলায় ধর্ষক মাসুদ রানাকে মোট ৪২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ রুস্তম আলী এ রায় দেন। এসময় পলাতক থাকায় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলো। রাষ্ট্রপক্ষের আইজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, ধর্ষক মাসুদ রানাকে ধর্ষণের দায়ে ৩০ বছর, ধর্ষণের শিকার ঐ নারীর আত্মহত্যার দায়ে আরো দশ বছরের সাজা দেন বিচারক। সেই সাথে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০জুন দুপুরে জয়পুরহাটের হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কিশোরী খাতিজা বেগম বাড়ির পাশে নিজেদের ক্ষেতে যায়। সেখানে মেয়েটিকে একা পেয়ে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা তাকে পাশের পাট ক্ষেতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরীর আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে মাসুদ রানা পালিয়ে যায়।
লোকলজ্জা আর ক্ষোভে ঘটনার একদিন পর ২ জুলাই খাতিজা বিষপানে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে খাতিজার বাবা হেলালুদ্দিন বাদি হয়ে ২০১২ সালের ৩ জুলাই জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক ধর্ষকের বিরুদ্ধে মোট ৪২ বছরের যাবজ্জীন কারাদন্ডের আদেশ দেন। তবে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক মাসুদ রানা পলাতক।