লক্ষমাত্রার চেয়ে ২০১৮ সালে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী কম বিদেশ গেছে। এজন্য ২০১৯ সালকে এখাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দূতাবাসগুলোর দক্ষতা বাড়ানো, নতুন বাজার খোলা এবং দক্ষ কর্মী পাঠানোর দিকে জোর দেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মষংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জানালেন, নতুন বছরে নতুন বাজার খোলার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। বিশ্বের ১৬৫ টি দেশে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান ও কাতার অন্যতম শ্রমবাজার। গেলো বছরে মালয়েশিয়া এবং সৌদি আরব ছাড়া বাকি দেশগুলোতে খুব একটা কর্মী যায়নি। বছরের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়াও।
২০১৭’র অভিবাসী বিদস নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশীক কর্মষংস্থান মন্ত্রণালয়ের সদ্যবিদায়ী মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এসসি বলেছিলেন ১৭-তে ১০ লাখ হলেও ২০১৮ সালে ১২ লাখ কর্মী পাঠানো হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কর্মী গেছে সাড়ে সাত লাখের মতো। দেশে বৈদেশীক মূদ্রার দ্বিতীয় বৃহৎ খাত প্রবাসী আয় বাড়াতে নতুন বছরে অধিক সংখ্যক দক্ষকর্মী পাঠানোর দিকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের। মন্ত্রণালয়ের সচিব জানালেন, নতুন বছরে আরো কয়েকটি শ্রমবাজার চালুর জন্য কাজ করছেন তারা। একইসাথে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবারো কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া বেশ এগিয়েছে বলে জানান সচিব। ২০১৮ তে কম কর্মী বিদেশ গেলেও ১৭তে যাওয়া কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্সে বিদায়ী বছরে বেড়েছে প্রবাসী আয়। তবে ১৮ তে কর্মী কম যাওয়ায় চলতি বছরে প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়তে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।